নিজস্ব সংবাদদাতা- বিজেপির রোড শোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রীট অঞ্চল। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপির রোড শোকে লক্ষ্য করে ঝাঁটা, জুতো দেখালে পাল্টা বিজেপি কর্মীরা তাদের দিকে তেড়ে যায়। এর ফলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে কলকাতা পুলিশের বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত থাকা সত্বেও মিনিট দশেকের জন্য গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তৃণমূল কর্মীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর কনভয়ের একটি গাড়ির কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্তরা এই রোড শো উপস্থিত আছেন। এরকম হেভিওয়েট নেতাদের নিয়ে রোড শো হলেও স্থানীয় অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে মীরজাফর স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কলকাতা পুলিশের কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের রাস্তার এক দিকে সরিয়ে নিয়ে গেলেও বেশ কিছু অতি উৎসাহী তৃণমূল সমর্থক বিজেপির নেতা কর্মীদের কালো পতাকার পাশাপাশি ঝাঁটা-জুতা দেখাতে থাকেন। হঠাৎ করেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জামায়াত থেকে কয়েকটি ইঁট উড়ে এসে পড়ে বিজেপির মিছিলে। এই ঘটনার ফলে বিজেপি কর্মী সমর্থক ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যান। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সেন্ট পলস কলেজের ভিতর ঢুকে বিজেপি কর্মীরা তাদের দলীয় সমর্থকদের মারধর করেছে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে তাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাওয়া অর্জুন সিং-এর কনভয়ের একটি গাড়ির পিছনের কাঁচ ভেঙে যায় এর ফলে।

স্থানীয় সূত্রে খবর প্রাক্তন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বিজেপির রোড শো এগিয়ে চলেছিল সেই সময় প্রথম ঝামেলা বাঁধে। এই অশান্তি প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের সামনেই হামলা করা হয়। যদিও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।”

বিজেপি কর্মীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমহার্স্ট স্ট্রীট এলাকায় পথ অবরোধ করা হয়। সন্ধ্যেবেলায় অফিস ফেরত যাত্রীরা এর ফলে ব্যাপক দুর্ভোগের সম্মুখীন হন।