নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছিল যে জল্পনা, তাতে ইতি টানতে আর বেশি দেরি করলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাঙ্ক্ষিত আসন থেকে গেরুয়া টিকিট না পেয়ে প্রত্যাশা মতোই দল ছাড়লেন তিনি। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়

আজ কয়েক ঘন্টা আগেই তৃতীয় ও চতুর্থ দফার নির্বাচনের মোট ৬৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। আর তাতেই হয়তো একুশের বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম বড় চমকটি লুকিয়ে ছিল। পূর্ব বেহালা, যা বরাবরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এলাকা হিসেবে সুপরিচিত, সেখান থেকে গেরুয়া টিকিট পেয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পুণরায় দলত্যাগ যে কেবল সময়ের অপেক্ষা তা ছিল সহজেই অনুমেয়।

শোভন চট্টোপাধ্যায় যে পূর্ব বেহালা থেকে লড়বেন তা আন্দাজ করেই সেখান থেকে শোভন বাবুর স্ত্রী রত্নাদেবীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মনে করা হয়েছিল এবার স্বামী স্ত্রীর মেগা দ্বৈরথ দেখবে বাংলা। কিন্তু সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নতুন প্রার্থীকে যে মোটেই ভালো চোখে দেখেননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তা বলাই বাহুল্য। জানা গেছে, আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি লিখেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

শোভন বৈশাখীর সঙ্গে যে সম্পর্ক বিশেষ ভালো যাচ্ছে না বিজেপির তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। সূত্রের খবর, বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে এবারের নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয় তার দাবি জানিয়েছিলেন শোভন বাবু। কিন্তু দল তা কানে তোলেনি। এছাড়া, স্ত্রী রত্না দেবীর বিরুদ্ধে পূর্ব বেহালা থেকে প্রার্থী হতে চান তিনি। কিন্তু রাখা হয়নি সেই ইচ্ছেও। ফলে দলত্যাগ অনিবার্য হয়ে পড়ে।