নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন সিঙ্গুরের সিপিআইএম প্রার্থী তথা এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। সংগ্রামের ইতিহাসে জর্জরিত এই কেন্দ্রে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সিঙ্গুর থেকে এবারের ভোটে লড়ছেন বেচারাম মান্না। রাজনীতিতে ঘুঘু এই দুই বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কতটা সম্ভাবনাময় সৃজন ভট্টাচার্যের ভোট ভবিষ্যৎ? চলছে জল্পনা।

বস্তুত, বাম শিবিরের এই তরুণ প্রার্থীকে আপাতভাবে আনকোরা মনে হলেও তিনি কিন্তু যুব রাজনীতিতে একেবারে পোড় খাওয়া প্রার্থী। নির্বাচনী আঙিনায় হয়তো এই প্রথম দেখা যাবে তাঁকে, কিন্তু লাল ঝান্ডা হাতে দীর্ঘ দিনের সঙ্গী সৃজন ভট্টাচার্যকে প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বসুর স্বপ্নের কারিগর বলছে সিপিএম নেতৃত্ব। বলা হচ্ছে, এই তরুণের কাঁধেই ভর করে রয়েছে বামেদের অধরা সমস্ত স্বপ্নের সুতো। তবে আবেগে ভর করে কি আর ভোট বৈতরণী পার করা যাবে?

গতকালই সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন বর্ষীয়ান বামনেতা হান্নান মোল্লা। সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কৃষক সভার এই সাধারণ সম্পাদক তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠুকে তিনি বলেন, “এক নাগিনীর বিষাক্ত নিঃশ্বাসে সিঙ্গুর বিষাক্ত হয়েছে। তা থেকে এই এলাকাকে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে।” তৃণমূলের ভুল নীতি নির্ধারণের জন্যই সিঙ্গুরের দুরবস্থা,জানান তিনি। “উন্নয়ন হওয়ার বদলে মস্ত বড় এক কবর স্থানে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। শিল্প, কৃষি সব জলাঞ্জলি গিয়েছে।” বলেন হান্নান মোল্লা।

গত ১ সপ্তাহ ধরেই রাকেশ টিকায়েত, হান্নান মোল্লার মত সর্বভারতীয় কৃষক নেতারা বাংলায় এসে একাধিক কর্মসূচি করেছেন। কলকাতায় ট্র্যাক্টর মিছিল থেকে নন্দীগ্রামে মহাপঞ্চায়েত করেছেন তাঁরা। তাঁদের স্লোগান ছিল ‘বিজেপিকে ভোট নয়’। এদিকে সিঙ্গুরের গেরুয়া প্রার্থী নিয়ে অসন্তুষ্ট স্থানীয় কর্মী সমর্থকরাও। এমতাবস্থায় সৃজন ভট্টাচার্যের সাফল্যের সম্ভাবনা একেবারেই ফিকে নয়, মনে করছে বাম শিবির।