নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ১০ তারিখ নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে বাঁ পায়ে বড় আঘাত পেয়েছেন। তবে তিনি তো ঘরে বসে থাকার মহিলা নন। আর তাই সেই জখম পা নিয়েই গোটা জঙ্গলমহল চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বার্তা, “ভাঙা পায়েই খেলা হবে”। আর এই ‘ভাঙা’ পায়ের মমতা যেন আরও আক্রমণাত্মক! আরও ধুন্ধুমার! পায়ের প্রবল যন্ত্রণার মধ্যেও কেন তিনি ভোট প্রচারে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেন, “ডাক্তাররা আমাকে বাইরে বেরোতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু আমি না থাকলে বিজেপি সব দখল করে নেবে। আমি তা হতে দেব না।”

উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রথম দু’দফার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে রয়েছে গত লোকসভায় হারানো জমি পুনরুদ্ধার করা। বুধবার গোপীবল্লভপুরের জনসভা থেকে মমতা বলেন, “বিজেপি বাংলার বিষয়ে কিছুই জানে না। কী জানবে ওরা, কোনওদিন বাংলায় ছিল নাকি? লোকসভা ভোটে জিতে কিছু করেছে আপনাদের জন্য? ২ বছর আগে যে জিতল, জেতার পর কিছু করেছে?” বলাই বাহুল্য, মমতার প্রশ্নের জবাবে জমায়েত থেকে উত্তর এসেছে, ‘না’। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ভোটের আগে থেকেই জঙ্গলমহলকে অশান্ত করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “বিজেপি ইতিমধ্যেই বাইরে থেকে হাজারের ওপর নেতা এখানে এনেছে। আর উত্তরপ্রদেশ-বিহার থেকে অসংখ্য বহিরাগত গুন্ডাও এসেছে জঙ্গলমহলে। ওরা চায় ঝাড়গ্রাম দখল করতে। ওরা চায় গোটা জঙ্গলমহলকেই দখল করতে।”

এদিকে, আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনের নির্বাচন। তার ঠিক আগেই ২৯ ও ৩০ মার্চ একাধিক মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করবেন জনসভাও, নন্দীগ্রাম নেতৃত্বের কাছে এমনই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, ভাঙাবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়া পর্যন্ত  রোড শো করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জানা গিয়েছিল, তিনি ১৯ তারিখ নন্দীগ্রাম যাবেন। ২০ তারিখ তাঁর সভা করার পরিকল্পনাও ছিল। নন্দীগ্রাম ১ ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা ও একটি রোড শো করতে পারেন বলেও খবর ছিল। কিন্তু সেসবই বাতিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবেলায় ঝড় তুলতে চাইছেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তাঁরা বলছেন, মাঠ ছাড়াটাও একটি দুরন্ত কৌশল। এতে তাঁর জন্যে অপেক্ষা তৈরি হবে। আর শেষবেলাতেই কামারের ঘা দিয়ে বাজিমাত করা লক্ষ্য তাঁর।