নিজস্ব সংবাদদাতা- তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দীনেশ ত্রিবেদী। সেইসঙ্গে তার নিশানা থেকে বাদ যাননি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, “রাজনীতির অ-আ-ক-খ যিনি জানেন না তিনি এখন দলের নেতা।” এর পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন তিনি। তাকে নিশানা করে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, “মমতাকে দেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি মা-মাটি-মানুষের পাশ থেকে সরে গিয়েছেন।”

এর আগে যে সমস্ত তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা সবাই দলে থেকেও কাজ করার পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি বেশিরভাগই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করেন। সেই একই ধারা মেনে দীনেশ ত্রিবেদী অভিযোগ করেন, “তৃণমূল এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নেই, কর্পোরেট দলে পরিণত হয়েছে।” কর্পোরেট দল বলতে তিনি যে প্রশান্ত কিশোর ও তার সংস্থা আইপ্যাকের কথা বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার। প্রসঙ্গত প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক তৃণমূলের হয়ে ভোটের রণকৌশল তৈরীর দায়িত্বে আছে।

দীনেশ ত্রিবেদী সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন তিনি ছাড়াও আরও অনেকে তৃণমূল সাংসদ দল থেকে ইস্তফা দেবেন। এই প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু আমি নই, দলের অনেকেরই একই অনুভব। ইস্তফা দিয়ে আজ স্বস্তি অনুভব করছি। আমি দলে থেকেও কোনো কথা বলতে পারছিলাম না। এবার নিজের মনের কথা প্রাণ খুলে বলতে পারব।”

বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে দীনেশ ত্রিবেদীর সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা নিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় সমালোচনা করেন। তবে সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন দলের আরেক লোকসভা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দীনেশ ত্রিবেদীর এই ইস্তফাকে পিছন থেকে ছুরি মারার ঘটনা বলে চিহ্নিত করেন। সেই সঙ্গে লেনদেনের রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “নিশ্চয়ই কোনো গজু ভাইয়ের সঙ্গে সেটিং হয়েছে তাই দল ছাড়ল।” এই আইনজীবী সাংসদের নিশানা যে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।