নিজস্ব সংবাদদাতা- বামেদের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়ে বাম কর্মী-সমর্থকদের আজ দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে সমর্থকদের দাপট সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে দীর্ঘদিন পর আজ প্রথম স্কুল খুললেও বনধ সমর্থকদের বাধায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে প্রবেশ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনেই প্রধানত উপাচার্য, সহ-উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা বসেন। বনধের সমর্থনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই কর্মীরা অরবিন্দ ভবনের কোলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। সেই সময় ভেতরে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন। এসএফআইয়ের বক্তব্য গতকাল ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে এই বনধ ডাকা হয়েছে। তা সত্বেও উপাচার্য, সহ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় আসায় তারা অরবিন্দ ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

দীর্ঘক্ষন তালা বন্ধ অবস্থায় থাকার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যরা করাত এনে গেটের তালা কেটে ফেলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও বনধর সমর্থনকারীরা নতুন করে আর তালা লাগায়নি।

তৃণমূল প্রভাবিত অশিক্ষক কর্মীদের বক্তব্য আন্দোলন করার অধিকার সকলের আছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে বন্ধ করা দিয়ে বেআইনি কাজ করেছে ছাত্রদের একাংশ। তারা তালা কেটে কেবলমাত্র অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে দাবি।

বনধ সমর্থনকারীরা বেসরকারি যানবাহনে ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও নানা জায়গা থেকে অভিযোগ ওঠে। এমনকি তারা জোর করে নানা জায়গায় দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।