রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধছে বিজেপি। দিল্লিতে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পদ্মশিবির আন্দোলনেও নামছে। গতকাল বাংলায় এসে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতেও যান। ভোট পরবর্তী হিংসার খোঁজ নিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোনও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বজেপি-র অভিযোগ, খানাকুল থেকে নানুর-সোনারপুর সর্বত্র তাদের কর্মীরা আক্রান্ত। ভোটে তৃণমূলের বিজয় উৎসব পরিণত হয়েছে হত্যালীলায়-ধ্বংসযজ্ঞে এমন অভিযোগও করেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু অভিষেক ব্যানার্জি-র ডায়মন্ড হারবার থেকে উঠে এল উল্টো ছবি। যেখানে অভিষেক গড়ে তৃণমূল কর্মীকে আক্রমণ করল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অন্তত অভিযোগ এমনই। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের দিনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা।

আরও পড়ুন: নির্দলদের ভরাডুবিতে উজ্জ্বল দীনেশ দাস, জানালেন আগামীর পরিকল্পনা

ডায়মন্ডহারবারে-র সেই পুরনো তৃণমূল কর্মীর কাতর আবেদন। “দিদি আমাদের বাঁচান। বিজেপি আমাদের মারছে”। তাঁর নাম,তপন মণ্ডল, বাড়ি কালিচরণপর। জীবন বাজি রেখে তৃণমূলে করেছেন। ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ছেড়ে ভোটের ঠিক আগে বিজেপি-তে যোগ দেন টানা দু’বার জোড়াফুলের টিকিটে ভোটে জেতা জেতা দীপক হালদার। কিন্তু দীপক হালদার দল ছাড়লেও, তপন মণ্ডল বিজেপি-তে যোগ দিতে রাজি হননি। এই কেন্দ্র তিনি দিদির মনোনিত তৃণমূল প্রার্থী পান্নালাল হালদারের হয়েই প্রচার চালান। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় পদ্মফুল প্রতীকে ভোটে দাঁড়ানো দীপক হালদার প্রায় ১৭ হাজারের ব্যবধানে হেরে যান তৃণমূলের প্রার্থীর কাছে।

সেই রাগে দীপক হালদারের অনুগামীরা তাঁর দোকানে হামলা চালায়, ফোনে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তপন মণ্ডলের। তাঁর ব্যবসা বর্তমানে বন্ধ। কী করবেন কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। তাই তার বার্তা দিদির কাছে পৌঁছে দিতে তিনি ভিডিও করলেন। হাতজোড় করে তাই তিনি ভিডিওর মাধ্যমে আবেদন করলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় বিধায়ক পান্নালাল হালদারের কাছে বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফের যেন তিনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন, দিদির কাছে ভিডিওতে এমন কথা আবেদন করে কেঁদে ফেললেন।