রাজ্যে এবার বিধানসভা নির্বাচন একেবারে কঠিন লড়াই। ২০১৯ লোকসভায় বিজেপি-র চমকপ্রদ উত্থানের পর রাজ্য রাজনীতিতে বয়ে গিয়েছে অনেক ঝড়। দলবদল, তারকা যোগে বাংলার রাজনীতিতে অনেক সমীকরণ বদলে গিয়েছে। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় ম্য়াজিক ফিগার ১৪৮। তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে নি:শ্বাস ফেলছে বিজেপি। অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করলেও সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট বেশ কিছু জায়গায় বড় ফ্যাক্টর হবে।

আরও পড়ুন:“রবী ঠাকুর এই ভূমিতে কাউকে বহিরাগত হিসেবে দেখতেন না”

ভোটের যা পরিস্থিতি তাতে অধিকাংশ আসনেই একেবারে ফোটো ফিনিশ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যের এমন দশটি বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে লড়াই খুবই কঠিন ও প্রেস্টিজের। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেসব আসনে কারা সামান্য হলেও এগিয়ে আছেন—

১০) শিলিগুড়ি: ত্রিমুখি লড়াই। খুবই কঠিন। অশোক ভট্টাচার্য কি পারবেন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে জয় ছিনিয়ে আনতে!

সিপিএম জোট: অশোক ভট্টাচার্য
তৃণমূল কংগ্রেস: ওম প্রকাশ মিশ্র
বিজেপি: শঙ্কর ঘোষ

ভোট কবে: ১৭ এপ্রিল (৫ দফা)
অতীতের ফল:
২০১৯ লোকসভার ভিত্তিতে এই আসনে ৬৬ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি
২০১৬ বিধানসভায় এই আসনে ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য (৭৮,০৫৪টি ভোট)। তৃণমূল প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়া পান ৬৩,৯৮২টি ভোট
২০১৪ লোকসভায় বিজেপি এই কেন্দ্রে লিড পেয়েছিল ৭ হাজারের
২০১১ বিধানসভায় এই কেন্দ্রে ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যকে হারান তৃণমূল প্রার্থী রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য।

এবার কে এগিয়ে: একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ২০১৯ লোকসভায় বিজেপির লিড অনেকটা ছিল। তবে অশোক ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা অনেক। তৃণমূলের ওমপ্রকাশ মিশ্র হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও দলে স্থানীয় স্তরে ক্ষোভ আছে। নান্টু পালের দল ছেড়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোটাও তৃণমূলের কাছে খারাপ খবর।

———————–


৯) চণ্ডীতলা: ত্রিমুখি কাঁটে কী লড়াই। হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নেমেছেন বিধায়ক স্বাতী খন্দকর। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের মুখ মহম্মদ সেলিম এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে আসায় লড়াই জমেছে। টলিউড হিরো যশ দাশগুপ্তকে বিজেপি প্রার্থী করায় ভিআইপি এই কেন্দ্রে তারার ছোঁয়া লেগেছে।

সিপিএম জোট: মহম্মদ সেলিম
তৃণমূল কংগ্রেস: স্বাতী খন্দকর
বিজেপি: যশ দাশগুপ্ত

ভোট কবে: ১০ এপ্রিল (৪ দফা)
অতীতের ফল:
২০১৯ লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড ছিল ১৮ হাজারের মত
২০১৬ বিধানসভায় প্রায় ১৪ হাজারের মত ভোটের ব্যবধানে জেতেন তৃণমূলের স্বাতী খন্দকর
২০১৪ লোকসভায় এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যের লিড ছিল ১৬ হাজারের মত
২০১১ বিধানসভায় তৃণমূলের স্বাতী খন্দকর জেতেন প্রায় ১৭ হাজারের ব্যবধানে

কে এগিয়ে

  • অঙ্কের হিসেবে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে। সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর। মহম্মদ সেলিমের মত প্রার্থী আসায় লড়াই জমেছে। বিজেপি-র সেলেব প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত প্রচারে ঝড় তুলছেন, সেটা ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হলে লড়াই আরও জমবে।
  • ———————-

৮) খড়গপুর সদর: বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়। দিলীপ ঘোষ গত বিধানসভা ভোটে এই আসন থেকেই জিতে বিজেপির জয়যাত্রা শুরু করেছিলেন। তবে ২০১৯ লোকসভায় দিলীপ জেতার পর এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল বড় ব্যবধানে জিতে নেয়। দিলীপের গড় ফেরানোর লড়াইয়ে সেনাপতি টলি তারকা হিরণ।

বিজেপি: হিরণ চ্যাটার্জি
তৃণমূল: প্রদীপ সরকার
কংগ্রেস: সমীর রায়

কবে ভোট: ১ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়

অতীতের ফল:

২০১৯ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার জিতেছিলেন ২১ হাজার ভোটে। তিনি ভোট বাড়িয়েছিলেন প্রায় ১৮ শতাংশ।
২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এগিয়ে ছিলেন ৪৫ হাজার ভোটে।
২০১৬ বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ জিতেছিলেন ৭ হাজার ভোটে।
২০১৪ লোকসভায় বিজেপির লিড ছিল ১১ হাজার ভোটের
২০১১ বিধানসভায় কংগ্রেস জিতেছিল ৩২ হাজার ভোটে
২০০৯ লোকসভায় তৃণমূলের লিড ছিল ১৬ হাজার ভোটের
কে এগিয়ে:

  • হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে সামান্য হলেও এগিয়ে তৃণমূল
  • ———————————

৭) টালিগঞ্জ: লাইট, ক্যামেরা, ভোট…হেভিওয়েট কেন্দ্র, হেভিওয়েট প্রার্থী। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী কেন্দ্রের মন্ত্রী। সঙ্গে লড়ছেন আরেক টলিউড অভিনতা। সব মিলিয়ে টানটান লড়াই।

তৃণমূল: অরূপ বিশ্বাস
বিজেপি: বাবুল সুপ্রিয়
সিপিএম: দেবদূত ঘোষ

ভোট কবে: ১০ এপ্রিল (চতুর্থ দফা)
অতীতের ফল:

২০১৯ লোকসভায় তৃণমূলের লিড ছিল ২৯ হাজারের। মিমি চক্রবর্তী টালিগঞ্জ কেন্দ্রে ভোট পেয়েছিলেন ৭৭,৭৮১। সিপিএম এই কেন্দ্রে ভোট পেয়েছিল ৫৮,১৮৬, বিজেপি সেখানে পেয়েছিল ৪৫,৮১৪।

২০১৬ ও ২০১১ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের জয়ের মার্জিন ছিল যথাক্রমে ৯, ৯০০ ও ২৭ হাজারের মত। ২০১৪ লোকসভায় তৃণমূলের লিড ছিল ৯ হাজারের মত।

কে এগিয়ে: অরূপ বিশ্বাস অঙ্কের বিচারে এগিয়ে। তবে বাবুল সুপ্রিয়ের মত হেভিওয়েট প্রার্থী হয়ে আসায় লড়াই নি:সন্দেহে জমবে। এমনিতেই বরাবরই টালিগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এবার লড়াই ত্রিমুখি। ২০১৯ লোকসভায় সিপিএম এখানে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। টালিগঞ্জে সিপিএমের একটা নিশ্চিত ভোট ব্যাঙ্ক আছে। বাবুলকে জিততে হলে বাম ভোটে বড় ধস আনতেই হবে, অরূপ বিরোধী ক্ষোভকেও কাজে লাগাতে হবে।

——————–

৬) ডোমজুড়: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দিদির বিরুদ্ধো বোমা ফাটিয়েছেন। তৃণমূল বলছে, রাজীব বেইমান, দাদার অনুগামীরা বলছেন, দলে থেকে কাজ না করার অভিমান। রাজীব দল ছাড়ায় এই কেন্দ্রের ভোট খুব ইন্টারেস্টিং আর প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজেপি: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল: কল্যাণ ঘোষ

ভোট কবে: ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফা
অতীতের ফল
২০১৯ লোকসভায় এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের লিড ছিল ৫৫ হাজারের।
২০১৬ বিধানসভায় রাজীব ব্যানার্জি তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জেতেন ১ লক্ষ ৭ হাজারের বেশি ভোটে। তবে রাজীবের বিরুদ্ধে সিপিএম-কংগ্রেস নয় প্রার্থী ছিলেন জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৫,৪৮৯টি ভোট।

২০১৪ লোকসভায় তৃণমূলের লিড ছিল ৪০ হাজারের
২০১১ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে রাজীব জিতেছিলেন প্রায় ২৫ হাজার ভোটে।

কে এগিয়ে

  • বলা খুব কঠিন। রাজীবের ব্যক্তি ক্যারিশ্মার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে। তবে সোজা অঙ্কের হিসেবে তৃণমূলই এগিয়ে।
  • ———————–

৫) ভবানীপুর: মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো কেন্দ্র। মমতা এই কেন্দ্র থেকেই জিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এবার তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ায় পাশের রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে জেতা অভিজ্ঞ-বর্ষীয়ান নেতা-মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এখানে প্রার্থী করেছেন দিদি। লোকসভায় এই কেন্দ্রে তৃণমূলের ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। মমতার পুরনো এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। যে রুদ্রনীস ক মাস আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

তৃণমূল: শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
বিজেপি: রুদ্রনীল ঘোষ

ভোট কবে: ২৬ এপ্রিল। সপ্তম দফা

——————

অতীতের ফল
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির বাসস্থানের এই কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড অনেকটাই কমে চার হাজারেরও কমে নেমে গিয়েছিল।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জি ২৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি লিড ছিল।
২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সুব্রত বক্সি ছিলেন ৫০ হাদার ভোটে। পরে উপনির্বাচনে মমতা ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন।

কে এগিয়ে

  • কঠিন লড়াই। তবে ব্যক্তি ক্যারিশ্মা আর সংগঠনের শক্তির বিচারে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
  • ——————

৪) বিধাননগর:স বনাম স। শেষ অবধি কোনও স হাসে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে এখানে পদ্ম প্রার্থী।

তৃণমূল: সুজিত বসু
বিজেপি: সব্যসাচী দত্ত
কবে ভোট: ১৭ এপ্রিল। পঞ্চম দফা

অতীতের ফল
২০১৯ লোকসভায় এই কেন্দ্র বিজেপির লিড ছিল প্রায় ১৯ হাজারের।
২০১৬ ও ২০১১ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু জিতেছিলেন যথাক্রমে ৭ হাজার ও ৩৫ হাজার ভোটে। পরিষ্কার সুজিত বসুর ব্য়বধান ২০১৬-তে একধাক্কায় অনেকটা কমেছিল।
২০১৪ লোকসভায় এই কেন্দ্র বিজেপির লিড ছিল ৭ হাজারের মত।

কে এগিয়ে

  • হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে বিজেপিকেই সামান্য হলেও এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে মাঝখান থেকে বাম ভোট নির্ধারক হতে পারে। বামদের ভোট ব্য়াঙ্কে আগের কিছুটা ছন্দ ফিরে এলেও সুবিধা পাবেন তৃণমূলের সুজিত বসু।
  • —————–

৩) ডেবরা: দুই দুঁদে আইপিএস অফিসারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

তৃণমূল: হুমায়ুন কবীর
বিজেপি: ভারতী ঘোষ

কবে ভোট: ১ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা)
অতীতের ফল:
২০১৯ লোকসভায় বিজেপির লিড ছিল ৪ হাজারের কিছু বেশি। ভারতী ঘোষ বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। যদিও শেষ অবধি ঘাটাল লোকসভায় তৃণমূলের দেবের কাছে হেরেছিলেন ভারতী।

২০১৬ বিধানসভায় তৃণমূল জিতেছিল ১৪ হাজার ভোটে। যেখানে ২০১১ ভোটে তৃণমূল জিতেছিল ৯ হাজারের মত ভোটে।

২০১৪ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী দেব এই কেন্দ্রে ২১ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন।

কে এগিয়ে
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দুজনেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে।

—————


২) সিঙ্গুর: ঐতিহাসিক আন্দোলন, নজরকাড়া কেন্দ্র।

বিজেপি: রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
তৃণমূল: বেচারাম মান্না

কবে ভোট: ১০ এপ্রিল (৪ দফা)
অতীতের ফল:
২০১৯ লোকসভায় বিজেপির লিড ছিল ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের।
২০১৬ বিধানসভায় তৃণমূলের টিকিটে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জিতেছিলেন ২০ হাজার ভোটে।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের লিড ছিল প্রায় ৩০ হাজারের মত
২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জিতেছিলেন ৩৪ হাজার ভোটে।

কে এগিয়ে
কঠিন লড়াই। অঙ্কের বিচারে এগিয়ে বিজেপি, সংগঠনের বিচারে তৃণমূল। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিচারে এগিয়ে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, লড়াকু-পরিশ্রমী হিসেবে বেচারাম মান্না। লড়াই ৫০:৫০।

—————-

১) নন্দীগ্রাম: দিদি বনাম দাদা
তৃণমূল: মমতা ব্যানার্জি
বিজেপি: শুভেন্দু অধিকারী

কবে ভোট: ১ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা)

অতীতের ফল:
২০১৯ লোকসভায় তৃণমূলের লিড ছিল ৬৮ হাজারের মত। তবে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন অধিকারী পরিবারের। সেক্ষেত্র এই লিডের কতটা অধিকারী পরিবারের কটা তৃণমূলের সেটাই দেখার।

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে শুভেন্দু অধিকারী এখানে জেতেন ৮১,২৩০ ভোটের ব্যবধানে।

২০১৪ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে এই কেন্দ্র শুভেন্দু লিড পেয়েছিলেন ৮৭,৬৮৩ ভোটের ।

২০১১ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী ফিরোজা বিবি জিতেছিলেন ৪৩,৬৪০ ভোটে

কে এগিয়ে
সব দিক থেকেই এগিয়ে মমতা ব্যানার্জি। যদিও শুভেন্দু ভালই ফাইট দেবেন বলেই মনে হচ্ছে।