আজ ‘বিশ্ব হাসি দিবস’, অর্থাৎ ‘বিশ্ব হাসি দিবস’, সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। এই বিশেষ দিনটি প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার উদযাপিত হয়। এই দিনটি উদযাপনের পিছনে সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল মানুষকে হাসির গুরুত্ব বোঝা। এই বিশেষ দিনে জেনে নিন কিভাবে শুধু হাসি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আসুন জেনে নিই হাসির স্বাস্থ্য উপকারিতা কি কি।

মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে – যদি কোন দুশ্চিন্তা, দুশ্চিন্তা বা ঝামেলা থাকে, সবকিছু ভুলে আয়নার সামনে এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে হাসুন, টেনশন কমবে এবং মুখের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

বলিরেখা থেকে দূরে থাকুন- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা অনুসারে, আপনার হাসি সরাসরি আপনার স্বাস্থ্যের সাথেও সম্পর্কিত। মাত্র দুই ইঞ্চি হাসি দিয়ে মুখের কয়েক ডজন স্নায়ুর ব্যায়াম করা হয়। একটানা হাসতে থাকুন, এতে মুখে বলিরেখা হয় না এবং উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে।

অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি- হাসির কারণে দেহ মেলাতনিন উৎপন্ন করে, মস্তিষ্ক থেকে নিসৃত হরমোন। এটি ভালো ঘুমে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের জন্য এটি একটি ওষুধ। খোলাখুলি হাসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

হাসি

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- হাসি রক্তনালী প্রসারিত হওয়ার কারণে রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি করে। হার্ট চেম্বারে রক্ত ​​প্রবাহ সংশোধন করে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধ করা হয়। খোলাখুলি হাসা একজন ব্যক্তির চিন্তাভাবনা ছেড়ে দেয়। সে সব ভুলে গিয়ে সে ভালো বোধের মধ্যে হারিয়ে যায়। এটি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।

চিনি নিয়ন্ত্রণ- প্রতিদিন খোলাখুলি হাসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।হাসি রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এটি হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট-সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।

মানসিক চাপ থেকে মুক্তি- গবেষকদের মতে, শুধু হাসা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। খোলাখুলি হাসলে মানুষের দেহের রক্তনালীগুলো (ধমনী) প্রসারিত হয়, যার কারণে রক্ত ​​শরীরের অন্যান্য অংশে দ্রুত পৌঁছায়। সুখ এবং শান্তি এন্ডোরফিন এবং কর্টিসলের মতো রাসায়নিক পদার্থ ছেড়ে দেয়, যার প্রধান কাজ আপনাকে ভাল বোধ করা।