শুভ বিজয়া ২০২১ : কেনো শুধু পুত্রং দেহি ?

শুভ বিজয়ার সকাল সকাল একটা ফোন এলো।

” ভাই আজ তো পুজো শেষ। সকাল সকাল চলে আয় একটু। “

সকালে আজও তাড়াতাড়ি স্নান সেরে নিতে হলো। চোখ কচলাতে কচলাতে বেরোলাম বাড়ি থেকে। আজ সব নিভু নিভু ব্যাপার। সবার মন খারাপ। সবাইকে বেশ নিজের নিজের মনে হচ্ছে। সামনে এগিয়ে গেলাম মণ্ডপের ভেতরে। ঠাকুর মশাইয়ের গলার সেই তেজ আজ নেই, তবুও সেই ক্ষীণ মন্ত্রের মধ্যেই একটা ছোট্ট অংশ কানে এসে ভীষণরকম লাগলো।

” পুত্রং দেহি। “

অপেক্ষা করছি কখন “পুত্রিং দেহি” বা “কন্যাং দেহি” বলবেন ঠাকুর মশাই। কিন্তু কই? বললেন না তো!

শুভ বিজয়া

অনেক পুত্র সন্তানের কাছে হয়তো খুব গর্বের বিষয় হতে পারে এটা, কিন্তু আমাকে একেবারে নাড়িয়ে দিলো এই বৈষম্য পূর্ণ মন্ত্র। তৎকালীন সমাজের সেই পরিচিত ইতিহাসের গন্ধ যেনো নাকে কেমন ভেসে এলো হঠাৎই। যে পুজো নারী শক্তির পুজো। সেই পুজোর মন্ত্রেই নারীদের প্রতি অবহেলার এরম চরম উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে? যে মণ্ডপে কার্তিক – গণেশের ওপরে সরস্বতী – লক্ষ্মীর স্থান, সেই মণ্ডপে বসে ঠাকুর মশাই কিভাবে উল্লেখ রাখলেন না এক নারী নবজাতিকার। কেনো সম্মান নেই এক কন্যাসন্তানের? এ কেমন শাস্ত্র ? মা দুর্গার এই মন্ত্রে কোনো অসুবিধে নেই? এত বছর ধরে উনি মুখবুজে কিভাবে রয়েছেন? শাস্ত্র আমাদের কি শুদ্ধ করবে, শাস্ত্রেরই শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন।