নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের ১০ কোটি জনগণের জন্যই কয়েকমাস আগে ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গুলিতে ফ্রি-তেই চিকিৎসা পরিষেবা পাবে রোগীরা। তবে এই কার্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ উঠেছে৷ অনেক নার্সিংহোম এই কার্ড থাকলেও রোগীদের ফিরিয়ে দিয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ আসছিল রাজ্যের কাছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে৷ তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ভর্তি হতে আসা রোগীদের ফিরিয়ে দিয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল৷ নাকাল হতে হয়েছে রোগীর পরিবারকে৷ কিন্তু এই প্রথম খাস কলকাতায় দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চালু হল স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড৷ 

আমরি হাসপাতাল এবং আরএন টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সে চালু হল স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড৷ অন্যদিকে আগামী সপ্তাহে আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড জোরকদমে চালু করার প্রস্তুতি চলছে বলেই জানা গেছে৷ প্রতিদিনই বহু রোগী স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভর্তি হওয়ার জন্য আসছেন৷ গত নভেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের সকল নাগরিককে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে৷ এই ওয়ার্ড চালু হওয়ার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে এবং স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বাইরে রোগীদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে৷ 

আমরি হাসপাতাল ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর এবং সল্টলেক এই তিনটি ইউনিটেই স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ড রেখেছে৷ সব মিলিয়ে মোট ১১০টি বেড রয়েছে এই ওয়র্ডে৷ অন্যদিকে আরএন টেগোরে স্বাস্থ্যসাথী ওয়ার্ডে রয়েছে ৬৫টি বেড৷ আমরির সিইও রূপক বরুয়া বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগীর সংখ্যা রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে৷ তাই একটি পৃথক ওয়ার্ডের প্রয়োজন ছিল৷ সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে৷ মোট বেডের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথী রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷’’ এদিকে, মেডিকার ভাইস চেয়ারম্যান কুণাল সরকার বলেন, ‘‘বর্তমানে ১০ শতাংশ রোগী স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত৷ সে কারণেই পৃথক ওয়ার্ডের প্রয়োজন হয়ে উঠেছে৷ দিনে দিনে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন আমরাও বেড বাড়ানোর কথা ভাবব।’’