নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে এবং বিজেপিকে বহিরাগত বোঝাতেই একটি বিশেষ স্লোগান ব্যবহার করছে তৃণমূল। “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”। দলের এই স্লোগান এখন রীতিমত জনপ্রিয়। আর সেই স্লোগানের আদলেই এবার নতুন স্লোগান বেঁধেছেন যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।

তাঁরা বলছেন, “যাদবপুর এ বার নিজের ছেলেকে চায়”। আসলে ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুরে জোড়াফুল প্রতীকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন যাদবপুরের ঘরের ছেলে দেবব্রত মজুমদার। এলাকায় মলয় নামেই বেশি পরিচিত তিনি। যাদবপুরের বাসিন্দা বলেই নন, লম্বা সময় ধরে এলাকার পুর প্রতিনিধিও তিনি। কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ফলে যাদবপুর অঞ্চলে বেশ পরিচিত মুখ দেবব্রত মজুমদার।

আরও পড়ুন: ভোটে জিতলে হেলিকপ্টার, নগদ ১ কোটি, সঙ্গে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রার্থীর

তবে বাম দুর্গ বলে পরিচিত যাদবপুরে এ বার সব মিথ ভেঙে জোড়া ফুল কি ফেরাতে পারবেন দেবব্রত? ২০১৬ সালে জোরালো তৃণমূল হাওয়াতেও যাদবপুরে জয়লাভ করেছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। এবার কি সেই কেন্দ্র তৃণমূল পুনরুদ্ধার করতে পারবে? পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট দেবব্রত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, “যাদবপুর বাম ঘাঁটি হয় কী করে! ডাকসাইটে হেভিওয়েট বাম প্রার্থীরা ২০১১-তে হার স্বীকার করেছেন এই কেন্দ্রে। এ বার সেটারই পুনরাবৃত্তি হবে।” রীতিমত আত্মবিশ্বাস চুইয়ে পড়ছে দেবব্রতের গলায়।

সকালে যাদবপুর বাজারে চায়ের ভাঁড় হাতে নিয়ে তাঁর জনসংযোগের শুরু।

তারপর বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কখনও অলি গলিতে ঢুঁ। বিকেলে জিপে করে রোড শো। বেলা গড়ালে সন্ধ্যা বেলা পথসভা। যাদবপুরের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন দেবব্রত মজুমদার। বিধানপল্লী হোক কিংবা যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড বা ইস্ট রোড। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সমানে মন বোঝার চেষ্টা করছেন।

পুর প্রতিনিধি থাকাকালীন সকাল থেকে যাদবপুরের অলি-গলি ঘুরতেন। বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার পর মলয়ের সেই এলাকা চষে বেড়ানোর অভ‍্যেস আরও বেড়েছে, বই কমেনি। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবব্রত মজুমদারকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি জোট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী ও বিজেপির রিঙ্কু নস্কর।

যাদবপুরের লড়াই এবার তাই সেয়ানে সেয়ানে। কেউ কাউকে বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন। দেবব্রত অবশ্য বলছেন, “এই এলাকা হাতের তালুর মতো চেনা। প্রত্যেক ভোটারকে বাড়ি বাড়ি চিনি। জিততে তাই অসুবিধা হবে না। শেষ হাসি আমিই হাসব।” তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মবিশ্বাস থাকা ভাল, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নয়।