পরিবারতন্ত্র… যাকে আমরা বলি ‘স্বজনপোষণ’। বহুল পরিচিত নেপোটিজম চলছে সেই কোন অতীত থেকেই। আর বলিউডে পরিবারতন্ত্র বিষয়টি কারো অজানা নয়। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে না। বোঝে সবাই কিন্তু বলে না কেউ। মুখে আঙ্গুল সবার।

সুশান্ত সিং রাজপুত, এক সম্ভাবনাময় অভিনেতার মৃত্যু এই মুখের আঙ্গুল সরিয়ে দিয়েছে অনেকের। বলিউডে টিকে থাকতে হলে বলিউডে তথাকথিত গড ফাদারের নেক নজরে থাকতে হবে। এই চিরন্তন রীতি যে স্বীকার করবে না, তাকে অবশ্যই শিকার হতে হবে। বলিউডে এই নেপোটিজমের শিকার হয়েছেন অনেকেই।
বলিউডে এমন কিছু তারকা রয়েছেন যারা কোনো গড ফাদারের হাত ধরে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন একেবারে নিজের প্রচেষ্টায়। সুশান্ত সিং রাজপুত তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কোনো গড ফাদারের হাত ধরে না এসেও খ্যাতির শীর্ষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছিলেন তিনি।

তাঁর মৃত্যুর পর বলিউডের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রী।

১. কঙ্গনা রানাওয়াত
বলিউড
India TV News


অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত বলিউডের পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন, “বলিউড যা মাদক, শোষণ, নেপটিজম এবং জিহাদের আখড়া”। তিনি আরো বলেন, তিনি যতদিন বেঁচে আছেন, বলিউডের আসল চেহারা সবার সামনে তুলে ধরবেন।
পরের টুইটে তিনি লেখেন… ‘বড় তারকারা কেবল মহিলাদের দমিয়ে রাখে তাই নয়, অল্পবয়সী মেয়েদেরও শোষণও করেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো তরুণ তারকাদের উপরে উঠতে দেয় না। বদলে পঞ্চাশ বছর বয়সেও স্কুলের বাচ্চাদের ভূমিকায় অভিনয় করতে চায় তারকারা, এমনকি যদি তাদের সামনে কিছু অন্যায় হয়ে যায় তবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেন না।’
তিনি জানান, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অলিখিত আইন আছে, আপনি আমার নোংরা রহস্য গোপন করুন এবং আমি আপনাকে আড়াল করব।
ফিল্মের কয়েকটি পরিবারই শুধু এই ইন্ডাস্ট্রিকে চালায়। অন্য কেউ সেখানে স্থান পায় না। আর যদি বা কেউ নিজ যোগ্যতায় জায়গা করতে চায়, তাকে কৌশলে সরিয়ে দেওয়া হয়।



২. জন আব্রাহাম:-
বলিউড
YouTube


নেপোটিজম নিয়ে মুখ খোলেন জন আব্রাহামও। তিনি জানান, ‘আমি যখন মডেলিংয়ে কেরিয়ার শুরু করি, তখন আমি একজন বহিরাগতই ছিলাম।’
বলিউডে একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। নিজের কাজটা নিজেকেই করে নিতে হয়। তাঁর মতে, কাজ না মিললে নিজের জন্য নিজেই কাজ তৈরি করে নিন।

৩. দিশা পাটানি:-
বলিউড
Radio City


দিশা পাটানি বলেন ‘প্রতিটি শিল্পে নেপোটিজম বিদ্যমান।’ তবে হিংসা করার পরিবর্তে, নিজের পথে, নিজের প্রতিভা শক্তিতে কাজ করা আরও ভাল।

৪. রণবীর কাপুর:-
বলিউড
India.com


রণবীর কাপুর পরিশ্রমের পাশাপাশি পরিবারতন্ত্রকে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি আমার ঠাকুরদা পৃথ্বীরাজ কপূর কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন কাজের জগতে তাঁর সন্তানদের সুযোগ করে দিতে। আমিও কঠোর পরিশ্রম করতে চাই, যাতে আমার সন্তানরাও সঠিক সময় সঠিক সুযোগটা পায়। প্রথমেই ভাল একটা ছবি করতে পারে। এর পর নিজস্ব মেধা। তাই সত্যি বলতে, স্বজনপোষণ হয়।”

৫. রুদ্রনীল ঘোষ:-
বলিউড
Asianet News Bangla

‘সব জীবিকায় আপনি আমি একটু আধটু নেপো’… টলিউডের অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন… ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, মাস্টারের ছেলে মাস্টার, অভিনেতার ছেলে অভিনেতা, গায়কের ছেলে গায়ক… এ তো চিরন্তন প্রথা… তাই তাঁর বক্তব্য… ‘নেপোটিজম কী শুধু বলিউডেই দেখা যায়, অন্য কোথাও নয়!’

1 COMMENT