নিজস্ব সংবাদদাতা- পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্যবাসীর মন জিততে ‘মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি’তে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি নতুন ‘টিকা তত্ত্ব’ হাজির করলেন। পশ্চিমবঙ্গকে তাদের প্রস্তাবিত সোনার বাংলা করে তুলতে হলে চারটি বিশেষ ধরনের টিকা প্রয়োগ করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এটা অবশ্য করোনা প্রতিরোধী ডাক্তারি ব্যবস্থা নয়, এ পুরোপুরি রাজনৈতিক টিকা!

নাড্ডা নৈহাটিতে জুট মিল শ্রমিক দেবনাথ যাদবের বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ করার পর ব্যারাকপুরে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। সেই সভা মঞ্চ থেকে বলেন, “এ রাজ্যকে বাঁচাতে গেলে মোদিজীর করোনা টিকা ছাড়াও তোলাবাজি, চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, কাটমানির বিরুদ্ধে টিকা প্রয়োগ করতে হবে।” তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন এই টিকা রাজনৈতিক টিকা।সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে নারী পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বলে দাবি করেন জেপি নাড্ডা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তার বক্তৃতায় দাবি করেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করবে। ডবল ইঞ্জিন সরকার কেবলমাত্র রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে তিনি দাবি করেন। সেইসঙ্গে পিসি-ভাইপো জুটিকে নবান্ন থেকে ছুঁড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন তিনি।

জেপি নাড্ডা অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের ভাষা প্রয়োগ করছেন তা বাংলার সংস্কৃতি নয়। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিরোধী আচরণ করার জন্য তৃণমূল নেত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলার সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে যারা খারাপ কথা কথা বলছে তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে ক্ষমতা থেকে। সোনার বাংলা গড়তে হলে বিজেপির ওপর আস্থা রাখতে হবে।”

এদিকে ব্যারাকপুরে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা রথে চাপার কথা ছিল তাদের সর্বভারতীয় সভাপতির। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয় তারা। এ বিষয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ শেষ পর্যন্ত ব্যারাকপুরে পরিবর্তন যাত্রা রথ নিয়ে যাবার অনুমতি দেয়নি।