নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের যে আর দেড় মাসও বাকি নেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে তা টের পাওয়া যাচ্ছে হাড়ে হাড়ে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন শাসক ও বিরোধী শিবিরের নেতারা। এহেন প্রাক-নির্বাচনী উত্তাপের আবহেই এবার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ফের মাঠে নামল বিজেপি

এদিন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে শহরে একটি প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। কলেজ স্কোয়ার থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত চলে ওই মিছিল। একে ‘শিক্ষা বাঁচাও’ কর্মসূচি বলে অভিহিত করা হয়েছে। মিছিল শেষের সভা থেকে এদিন শাসকদলকে এক হাত নেন গেরুয়া নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষামিত্ররা রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি দাওয়া জানানোর কোনো জায়গা নেই।”

এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন বনমন্ত্রী আরো বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী শিবিরে ছিলেন তখন তিনি আন্দোলন করতেন। তিনি দেখেছেন কীভাবে বামপন্থী সরকার তাঁকে বাঁধা দিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম সেখান থেকে তিনি শিক্ষা নেবেন।” শাসনক্ষমতা লাভ করে তৃণমূল সুপ্রিমোও বামপন্থীদের পথে হেঁটেছেন বলেই অভিযোগ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। “যে কোনোরকমের বিরোধিতাকেই স্বৈরাচারী ভঙ্গিতে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার”, বলেন তিনি।

বস্তুত, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের স্বৈরাচারিতার জবাব জনগণ ভোট বাক্সের মাধ্যমে দেবেন বলেই মনে করেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। তাঁর কথায়, “এই সরকারকে উৎখাত করে মানুষ উন্নয়নের সরকারকেই বেছে নেবেন।”

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নিজেদের দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষা মিত্ররা এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পিছন দিকে আদিগঙ্গায় নেমে তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। এছাড়া টেট নিয়োগে দুর্নীতি সহ আরো একাধিক অসন্তোষই ভোটের আগে শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়েছে।