নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার সবথেকে উচ্চতা ভোটকেন্দ্র। প্রায় দশ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এ বছরে সেখানে ভোটার সংখ্যা ৯৩৩ জন। তারমধ্যে ৪৮৭ জন পুরুষ এবং ৪৪৬ জন মহিলা। শেষ বিধানসভা ভোটের চাইতে ৭০ জন ভোটার বেড়েছে। তবে শুধুই উচ্চতম নয়, দুর্গমতম ভোটগ্রহণ কেন্দ্রও এই শ্রীখোলা। যেখানে আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। উল্লেখ্য, দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম স্বল্প সংখ্যক ভোটার সমৃদ্ধ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র।

সেখানে গাড়ি চলে না। একটা উচ্চতার পর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পৌঁছনোর উপায় হেঁটে কিংবা খচ্চরের পিঠে। খাড়াই পথে খচ্চরের উপর লটবহর নিয়ে উঠতে অনভ্যস্ত শরীর নেবে কিনা কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে বেশির ভাগই ভরসা করেন নিজের কপাল এবং দু’পায়ের উপরই। তাই আশপাশের আরও কয়েকটি দুর্গম ভোট কেন্দ্রের সঙ্গে এই কেন্দ্রে পৌঁছতে বৃহস্পতিবারই রওনা হয়ে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেই প্রথম নির্বাচন দেখেছে শ্রীখোলার এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রটি। তার আগে দুর্গমতার কারণে ভোট দেওয়া হয়নি কোনওদিন। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভোট দিতে যেতে হওয়ায় বেশিরভাগই ভোট দিতেন না। এখনও পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। ভরসা সোলার সিস্টেম। এমনকী নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা প্রচারেও যান না সেখানে। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই বহু অসাধ্য সাধন করে দেড় হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট শ্রীখোলায় পৌঁছেছিলেন। সেই সভায় প্রায় গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছিল তাঁকে দেখার জন্য।

শ্রীখোলা ছাড়াও, ডারাগাঁও এবং রাম্মামও দুর্গম ভোট কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম এবং উচ্চতায় প্রায় শ্রীখোলার কাছাকাছি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি বেশ দুর্গম এলাকায়। ফলে, কোনও যানবাহনে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তাই ওই এলাকায় ভোট নিতে ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার হাঁটা পথই ভরসা ভোটকর্মীদের। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে এমন দুর্গম ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা এবার অন্তত ১৬ টি৷ ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোট নিতে ভোটকর্মীরা কখনও ঘোড়া কিংবা খচ্চরের পিঠে ইভিএম মেশিন-সহ ভোট সামগ্রী চাপিয়ে নিজেরাই পায়ে হেঁটে পৌঁছন। তার জন্য একদিন আগেই তাঁদের ওই এলাকায় পৌঁছে যেতে হয়। এলাকায় ভোট নিরাপত্তা রক্ষায় বাহিনী ও পাঠানো হয়েছে।