নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী তালিকায় রয়েছে চমকের পর চমক। কখনো গরীব দিন মজুর, কখনো বা টলিউড তারকা, গেরুয়া প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েননি কেউই। সঙ্গে অবশ্য রয়েছে বিদায়ী তৃণমূলীদের ভিড়ও। তবে টলিউডের সঙ্গে রাজনীতির যে অবিচ্ছেদ্য যোগ তৈরি হয়েছে এবারের ভোট পূর্ববর্তী বাংলায়, তারই আরো এক উজ্জ্বল নিদর্শন বহন করছেন বরাহনগরের বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র।

বিনোদন জগতে, তা সে বড় পর্দা হোক কিংবা ছোটো, পার্নো মিত্রের জনপ্রিয়তা বরাবরই আকাশচুম্বী। কিন্তু এবার রাজনীতির ময়দানে শুরু হয়েছে তাঁর অন্য লড়াই। এই লড়াইয়ে কি পার্নো পারবেন সফল হতে? কৌতূহলী মহলে উঠে গেছে প্রশ্ন।

বরাহনগরে অভিনেত্রী পার্নো মিত্রের নেত্রী হয়ে ওঠার লড়াইটা কিন্তু সহজ হবে না মোটেই। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি একসময় সিপিআইএমের শক্ত ঘাঁটি হলেও গত কয়েক বছর ধরে রয়েছে তৃণমূলের দখলে। বিধায়ক তাপস রায়ের জনপ্রিয়তাও অঞ্চলের মানুষের কাছে কম নয়। বছর বছর রাস্তা নির্মাণ থেকে শুরু করে অবাধ জল সংগ্রহ, জোড়াফুলের কর্মীরা এলাকায় কাজও করে দেখিয়েছেন। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়ের বিপরীতে রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা পার্নো মিত্র শুধুমাত্র টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয়তাকে সম্বল করে কতটা বাজিমাত করতে পারবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিজেপি তৃণমূল ছাড়া বরাহনগর কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। এলাকার বাম কর্মী সমর্থকদের ভোট জোটের হাত প্রার্থী অমল কুমার মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে পড়ে কিনা, সেদিকেও চোখ থাকবে নিঃসন্দেহে।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে নিজের কেন্দ্রে প্রচারে এসেছিলেন পার্নো মিত্র। পর্দার অভিনেত্রীকে সামনে পেয়ে উৎসুক জনতার ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন প্রচারের ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, “রাজনীতিতে নতুন। অভিনয় যেমন শিখেছি, এটাও শিখে নেব। মানুষের জন্য ভালোবেসে কাজ করবো।” বরাহনগরের মানুষের এই ভালোবাসা ভোট বাক্সে কতটা প্রতিফলিত হয়, সেটাই এখন দেখার।