kk-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা মহলে নানা মত। আয়োজক থেকে প্রশাসন, তাঁর মৃত্যুর কারণের জন্য অনেকগুলি বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতা পুলিস ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে। এরই মধ্যে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হল।
কে কে-র মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অব্যবস্থার ছবি স্পষ্ট। যে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া যায়নি সেগুলি হল-
1. ছোট হলে বেশি দর্শক প্রবেশ কী করে হল?
2. অধিক দর্শক প্রবেশ করলেও পুলিস বা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন?
3. হলের এসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কেন?
4. হলের ভিতরে কী এবং কেন স্প্রে করা হয়েছিল?
5. চরম অব্যবস্থার মধ্যে কর্মকর্তা তথা উদ্যোক্তারা উপস্থিত থাকলেও তারা কেন কোনও ব্।বস্থা নেননি বা অনুষ্ঠান বন্ধ করেননি
6. এতো বড়ো অনুষ্ঠানে কেন অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা ছিল না?
7. পাঁচতারা হোটেলে কোনও ডাক্তার বা প্রাথমিক লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা ছিল না কেন?
এরই মধ্যে একাধিক প্রশ্ন তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫০০ মিটারের মধ্যে থানা থাকলেও কেন ঘটনাস্থলে পুলিস অনুপস্থিত ছিল? হাইকোর্ট সূত্রে খবর, মামলাটির আবেদনের অনুমতি দিয়েছে আদালত এবং শীঘ্রই এর শুনানী হতে পারে।
তবে এই মামলা বা আবেদনকে অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করছেন। মূলত রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতেই এধরনের মামলা করা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিস তদন্ত চালা্চ্ছে। তার মধ্যে এই মামলা কেকে-র মৃত্যুর ঘটনাকে রাজনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে গেল বলেই ওয়াকীবহাল মহলের ধারণা।