আপনার চুলে চিড়ুনি দিলেই কি মুঠো মুঠো চুল হারে উঠে আসে ? চুলের ঘনত্ব কমে আসছে ? মাথায় টাক পরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ? এখন এবার এই পাতলা চুল নিয়ে কী চুল বাঁধবেন আর খুলে রাখলেই যে কোথা দিকে কিভাবে মাথার টাক দেখা যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ? জানি এমন সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে।কিন্তু ভয় পাবেন না । কারণ এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আজকে রইলো ব্রাক্ষ্মী শাকের কিছু ঘরোয়া টোটকা যা কিনা আপনার এই চুল পড়ার সমস্যা কে বিনষ্ট করবে মূল থেকে।
নাক সিঁটকাছেন ? ব্রাহ্মী শাক কিন্তু চুলের জন্য খুবই উপকারী। তাই এত না ভেবে একবার চুলের জন্য ব্যবহার করেই দেখুন, তফাতটা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন। তবে তার আগে জেনে নিন ঠিক কী-কীভাবে চুলের জন্য ব্রাহ্মী শাক আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
![চুল পড়ার সমস্যায় জেরবার ? কাজে লাগান ব্রাক্ষ্মী শাকের তৈরি তেলের 2 টি ঘরোয়া উপায় 1 চুল](https://www.banglakhabor.in/wp-content/uploads/2021/02/images-1_1_1_4.jpeg)
চুল পড়া কমানোর অন্যতম কার্যকারী ঘরোয়া উপায় হল ব্রাক্ষ্মী তেল।
ব্রাক্ষ্মীর মধ্যে অ্যালকালয়েড আছে, যা প্রোটিন কাইনেসের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়। এটা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এটা অস্বস্তি ও চুলকানির হাত থেকে মাথার ত্বককে রেহাই দেয় এবং খুশকি হওয়া কমায়। মাথার ত্বকে মালিশ করবার জন্য ব্রাক্ষ্মী শাক থেকে পাওয়া তেল ব্যবহার করা যায় ।চুলের জন্য তাই ব্রাক্ষ্মী তেল খুবই কার্যকারী। এই তেল চুল পড়া ও কমায়।
তেল তৈরির জন্য প্রয়োজন :
আমলকি, ব্রাক্ষ্মী শাক ও তিলের তেল। প্রথমে আমলকি থেতো করে নিন। এরপর ব্রাক্ষ্মী শাক থেতো করে নিন। এরপর আমলকি ও ব্রাক্ষ্মী শাক ফুটন্ত জলে ফেলুন এবং ২০ মিনিট ফুটতে দিন। লাল হওয়ার পর ভালো ভাবে মিশে গেলে এবং জল কমে এলে নামিয়ে নিন। কাপড়ের মধ্যে মিশ্রণটি নিয়ে ভালো করে ছেকে নিন। এবার ওই তরলের সমান তিলের তেল দিন। তারপর অল্প আঁচে ফুটে দিন। যখন দেখবেন পুরো মিশে গিয়েছে দুটি মিশ্রণ এবং ঘন হয়ে গিয়েছে। গাঢ় রঙ এসেছে। তখন নামিয়ে আরও একবার ছেকে নিন। তৈরি ব্রাক্ষ্মী তেল। সেই তেল আপনি ভালো করে মাথায় মেসেজ করুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনি ফল অনুভব করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি তৈরি করতে পারেন ব্রাহ্মীশাক দিয়ে দু’টি হেয়ার মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন আপনার চুল সুস্থ রাখতে।চলুন জেনে নি সেটি কিভাবে বানাতে হবে।
কী কী প্রয়োজন হবে – মোটামুটি ১৫-২০টি নিমপাতা এবং এক আঁটি ব্রাহ্মীশাক নেবেন।কীভাবে বানাবেন – যেদিন এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করবেন তার আগের দিন সারা রাত ধরে ওই নিম পাতাগুলি এক বাটি জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ওই ভেজানো পাতা এবং ব্রাহ্মী শাক একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। ভাল করে স্ক্যাল্পে এবং চুলে মাস্ক লাগিয়ে আধঘণ্টা পর কোনও মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।মাথার স্ক্যাল্পে ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধ করতে নিমপাতা এবং ব্রাহ্মীশাকের এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন খুব ভালো উপকার পাবেন।
কত দিন ব্যবহার করবেন – সপ্তাহে দু’বার করে অন্তত মাস তিনেক ব্যবহাার করুন ।
![চুল পড়ার সমস্যায় জেরবার ? কাজে লাগান ব্রাক্ষ্মী শাকের তৈরি তেলের 2 টি ঘরোয়া উপায় 2 তেল](https://www.banglakhabor.in/wp-content/uploads/2021/02/images-3_3.jpeg)
![চুল পড়ার সমস্যায় জেরবার ? কাজে লাগান ব্রাক্ষ্মী শাকের তৈরি তেলের 2 টি ঘরোয়া উপায় 2 তেল](https://www.banglakhabor.in/wp-content/uploads/2021/02/images-3_3.jpeg)
তাছাড়া মেথি এবং ব্রাহ্মী শাক থেকে তৈরি মাক্স ব্যবহার করতেে পারেন।
কীভাবে বানাবেন – মেথি দানা এবং ব্রাহ্মী শাক ভাল করে ধুয়ে নিয়ে বেটে একদম স্মুথ একটা পেস্ট তৈরি করবেন। এবারে ওই পেস্ট এর মধ্যে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে হেয়ার মাস্কটি চুলে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা দুই কিন্তু লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধয়ে ফেলুন।কত দিন ব্যবহার করতে হবে – সপ্তাহে অন্তত একবার এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করতে হবে যতদিন না আপনি উপকার পাচ্ছেন ততদিন ব্যবহার করে যান।তাছাড়া চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে ব্রাহ্মীশাক । এমনকি চুলের ফলিকল বা গোড়া মজবুত করতে ব্রাহ্মী শাক খুবই উপকারী।